টুইটার ও ফেসবুক বারবার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই ফাইনাল উপলক্ষে করা হয়রানিমূলক বার্তাগুলোর ৫৮ ভাগই এখনো রয়ে গেছে ওয়েবসাইটগুলোয়। আর সমকামী বিদ্বেষমূলক পোস্টগুলো মোছার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর ব্যর্থতা দেখা গেছে।
গত জুলাইয়ে হওয়া ইউরো ফাইনালে বর্ণবাদী নয়, এমন হয়রানিমূলক বার্তার ৮৭ ভাগই এপ্রিলে রয়ে গেছে। ইতালিয়ান খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে করা বর্ণবাদী বার্তাও মুছতে অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে টুইটার বা ফেসবুক দাবি করেছে, এসব বার্তা যাঁরা পাঠান, তাঁদের খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু ফিফার গবেষণায় দেখা গেছে, হয়রানিমূলক বার্তা পাঠানোর পর মুছে ফেলা ৯০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যেত।
বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি হেনস্তা করা হয় বলে ধারণা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নিজ দেশের মানুষের হাতেই হেনস্তা বেশি হচ্ছেন ফুটবলাররা। এসব ক্ষেত্রে ক্লাব পর্যায়ে দ্বৈরথও প্রভাব ফেলছে। লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বেশি হেনস্তার শিকার হন।
0 Comments